সততার পুরুষ্কার গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
সততা, পরােপকার ও নৈতিক মূল্যবােধ অর্জন

প্রশ্ন ১। স্বর্গীয় দূত আরব দেশের কতজন লােককে পরীক্ষা করেছিলেন?
উত্তর :স্বর্গীয় দূত আরব দেশের তিনজন লােককে পরীক্ষা করেছিলেন।
প্রশ্ন ২। ফেরেশতা মানুষের রূপ ধরে প্রথমে কোন ব্যক্তির নিকট আসেন?
উত্তর : ধবল ব্যক্তির নিকট।
প্রশ্ন ৩। টাকওয়ালাকে দূত কী দিয়েছিলেন?
উত্তর : একটি গাভিন গাই।
প্রশ্ন ৪। কে নূরের তৈরি?
উত্তর : ফেরেশতা নূরের তৈরি।
প্রশ্ন ৫। মুহম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রামের নাম কী?
উত্তর : পেয়ারা গ্রাম।
প্রশ্ন ৬। মুহম্মদ শহীদুল্লাহু মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?
উত্তর : ১৯৬৯ সালে।
প্রশ্ন ৭। ফেরেশতা তিন ইহুদির কী পরীক্ষা করেছিলেন?
উত্তর : সততা পরীক্ষা করেছিলেন।
প্রশ্ন ৮। নূর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : জ্যোতি বা আলাে।
প্রশ্ন ৯। ধবলরােগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তি কোন বংশের ছিল?
উত্তর : ইহুদি বংশের।
প্রশ্ন ১০। ধবল রােগীকে ফেরেশতা কী দিয়েছিলেন?
উত্তর : একটি গাভিন উট।
প্রশ্ন ১১। অন্ধ লােকটিকে ফেরেশতা কী দিয়েছিলেন?
উত্তর : একটি গাভিন ছাগল।
প্রশ্ন ১২। ফেরেশতা কিসের রূপ ধরে এসেছিলেন?
উত্তর : মানুষের রূপ ধরে।
প্রশ্ন ১৩। দ্বিতীয়বার ফেরেশতা নিজেকে কী বলে পরিচয় দেন?
উত্তর : এক বিদেশি বলে।
প্রশ্ন ১৪। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে কে কৃতজ্ঞ ছিল?
উত্তর : অন্ধ লােকটি।
প্রশ্ন ১৫। সততার পুরস্কার কে পেয়েছিল?
উত্তর : অন্ধ লােকটি।
প্রশ্ন ১৬। ধবলরােগীকে ফেরেশতা কী শাস্তি দিয়েছিলেন?
উত্তর : আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ১৭। আল্লাহ কার ওপর খুশি হয়েছিলেন?
উত্তর : অন্ধ লােকটির ওপর।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর।
প্রশ্ন ১। স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন কেন?
উত্তর : আরব দেশের তিনজন লােকের সততা পরীক্ষা করার জন্য স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।
আরব বংশের তিনজন লােক ছিল— যাদের মধ্যে প্রথমজন ধবলরাগী, দ্বিতীয়জন টাকওয়ালা এবং তৃতীয়জন অন্ধ। আল্লাহ তাদের সততা পরীক্ষা করার জন্য এক ফেরেশতা পাঠালেন। তাই ফেরেশতা তখন মানুষের রূপ ধরে তাদের কাছে গেলেন।
প্রশ্ন ২। ধবলরােগীর গায়ের চামড়া কীভাবে ভালাে হয়?
উত্তর : ফেরেশতা বা স্বর্গীয় দূত ধবলরােগীর শরীরে হাত বুলিয়ে দিলে তার রােগ ভালাে হয়।
সেকালে আরব বংশে তিনজন লােক ছিল। তাদের মধ্যে একজন ছিল ধবল বা কুষ্ঠ রােগী। আল্লাহর হুকুমে একদিন ফেরেশতা তার কাছে গিয়ে সততা পরীক্ষা করার জন্য তার মনের চাওয়াটা জানতে চাইলে সে ধবল রােগ থেকে মুক্তির ইচ্ছা ব্যক্ত করল। তখন ফেরেশতা তার সর্বাঙ্গে হাত বুলিয়ে দেন। এতে তার রােগ সেরে যায়। এভাবে ধবলরােগীর গায়ের চামড়া ভালাে হয়।
প্রশ্ন ৩। আল্লাহ কেন অন্ধ লােকটির ওপর খুশি হয়েছেন?
উত্তর : অন্ধ ব্যক্তির সততা দেখে আল্লাহ তার ওপর খুশি হয়েছেন।
অন্ধ ব্যক্তির সততা পরীক্ষার জন্য আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতা এসে। তাকে প্রথমে সুস্থ করেন এবং ধন-সম্পদের মালিক করে দেন। পরবর্তী সময়ে তার চুড়ান্ত পরীক্ষা নিতে এক অসহায় পথিকের বেশ ধরে তার কাছে সাহায্য চান। লােকটি আল্লাহর করুণার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করে এবং সাহায্য করতে রাজি হয়। তার এই সততা দেখে আল্লাহ খুশি হন।
প্রশ্ন ৪। সকলে যে আমাকে বড় ঘৃণা করে’- ধবলরাগী কথাটি কেন বলে?
উত্তর : ধবলরােগী তার রােগের কথা ফেরেশতার কাছে বলতে গিয়ে উক্ত কথাটি বলে।
আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতা ধবলরােগীর কাছে গিয়ে জানতে চায় সে কী সবচেয়ে বেশি ভালােবাসে। জবাবে ধবলরােগী বলে তার গায়ের ধবল রােগ (কুষ্ঠরােগ) যদি ভালাে হয় তবে সে সবচেয়ে সুখী। কারণ এ রােগকে সবাই খুব ঘৃণা করে।
প্রশ্ন ৫। “উটের অনেক দাম, কী করিয়া দিই- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ধবলরােগীর কাছে একটি উট চাইলে সে অসহায় পথিকরূপী, ফেরেশতাকে উক্ত কথাটি বলে।
এক সময় ধবলরােগীকে সুস্থ করে সম্পদের মালিক করে দিয়ে ফেরেশতা পুনরায় বিপদগ্রস্ত বিদেশি হয়ে আসেন তার সততা ও কৃতজ্ঞতাবােধ পরীক্ষা করতে। তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য তার কাছে একটি উট চান। কিন্তু অকৃতজ্ঞ, লােভী ধবলরােগী সেটা দিতে অস্বীকার করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।
প্রশ্ন ৬। “এখন আল্লাহর দয়া ছাড়া আমার দেশে পৌছিবার আর কোনাে উপায় নাই”- ফেরেশতা কেন একথাটি বলেন?
উত্তর : অন্ধ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করার জন্য অসহায় পথিকরূপী ফেরেশতা তাকে উক্ত কথাটি বলেন।
আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতা অন্ধ রােগীর সততা পরীক্ষা করতে তাকে প্রথমে সুস্থ করে তােলেন এবং ধন-সম্পদের মালিক করে দেন।।পরবর্তীতে আবার তার কাছে গিয়ে ফেরেশতা নিজেকে অসহায়পথিক হিসেবে তার সামনে তুলে ধরে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।