আসমানি কবিতার জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। ম্যালেরিয়ার বিষ গুলিছে কে?
উত্তর : ম্যালেরিয়ার মশা ম্যালেরিয়ার বিষ গুলছে।
প্রশ্ন ২। কবি জসীমউদ্দীনের গ্রামের নাম কী?
উত্তর : কবি জসীমউদ্দীনের গ্রামের নাম তাম্বুলখানা।
প্রশ্ন ৩। আসমানিদের গ্রামের নাম কী?
উত্তর : রসুলপুর গ্রামে।
প্রশ্ন ৪। বৈদ্য’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বৈদ্য’ শব্দের অর্থ-কবিরাজ।
প্রশ্ন ৫। আসমানির চোখ দুটি কেমন?
উত্তর : আসমানির চোখ দুটি ডােমর-কালাে।
প্রশ্ন ৬। ‘বাস’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বাস’ শব্দের অর্থ- পােশাক।
প্রশ্ন ৭। পল্লিকবি জসীমউদ্দীন কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ৮। আসমানিদের বাড়ি কিসের মতাে?
উত্তর : আসমানিদের বাড়ি পাখির বাসার মতাে।
প্রশ্ন ৯। কী দিয়ে আসমানিদের ঘর ছাওয়া?
উত্তর: ভেন্না পাতা দিয়ে আসমানিদের ঘর ছাওয়া।
প্রশ্ন ১০। কখন আসমানিদের ঘর নড়বড় করে?
উত্তর : একটুখানি হাওয়া দিলে আসমানিদের ঘর নড়বড় করে।
প্রশ্ন ১১৷ আসমানিদের বাড়ির কাছের পুকুরের নাম কী?
উত্তর : আসমানিদের বাড়ির কাছের পুকুরের নাম পদ্ম-পুকুর।
প্রশ্ন ১২। ব্যাঙের ছানা কোথায় বাস করে?
উত্তর : আসমানিদের বাড়ির ধারের পদ্ম-পুকুরে।
প্রশ্ন ১৩। আসমানির পেট কিসের জন্য ফুলে উঠেছে?
উত্তর : আসমানির পেটে পিলে হওয়ার কারণে ফুলে উঠেছে।
প্রশ্ন ১৪। ‘নিতুই’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘নিতুই’ শব্দের অর্থ হলাে প্রতিদিন।
প্রশ্ন ১৫। আসমানির পােশাক কেমন?
উত্তর : আসমানির পােশাক ছেড়া ও শত তালি দেওয়া।
প্রশ্ন ১৬। আসমানি কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ এবং মানুষের প্রতি ভালােবাসা প্রকাশ করতে পারা।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। ছেড়া বাস আসমানিকে উপহাস করছে কেন?
উত্তর : আসমানির সৌন্দর্যের সঙ্গে তার পােশাক বেমানান, সেই কথাটিই এখানে বলা হয়েছে।
আসমানিরা অনেক গরিব। তারা ভাঙা কুঁড়েঘরে বসবাস করে। জোরে বাতাস বইলেই সে ঘর উড়ে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাদের খাওয়া-দাওয়ারও কোনাে ঠিক নেই। কিন্তু এতকিছুর পরেও আসমানির গায়ের রং সােনালি। আর তার এত সুন্দর শরীরে হেঁড়া, তালি দেওয়া কাপড় যেন তার সৌন্দর্যকে উপহাস করছে। তাঁর এত সুন্দর গায়ের রঙের সঙ্গে ছেড়া কাপড় একেবারেই বেমানান। এই কারণেই ছেড়া বাস আসমানিকে উপহাস করছে।
প্রশ্ন ২। পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেড়া বাস’- চরণটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : উল্লিখিত চরণ দ্বারা হতদরিদ্র আসমানির পােশাকের বর্ণনা করা হয়েছে।
আসমানি একটি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। সে পাখির বাসার মতাে ছােট্ট ঘরে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটায়। ঠিকমতাে খেতে না পারায় শরীর জীর্ণশীর্ণ হয়ে গেছে। অসংখ্য তালি দেওয়া কাপড় তার পরনে। তার পােশাক-পরিচ্ছদে দারিদ্র্যের চিহ্ন প্রকাশিত। উল্লিখিত চরণে আসমানির পােশাকের এই করুণ চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩। ‘বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।’- উক্তিটি দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত চরণে আসমানিদের অভাবের তাড়নায় অসুখ হলে চিকিৎসা করতে না পারার বিষয়টি বলা হয়েছে।
আসমানিরা হতদরিদ্র। অভাবের জন্য অনাহারে থাকতে হয়। হেঁড়া-তালি দেওয়া পােশাক পরতে হয়। তারা অত্যন্ত নােংরা পরিবেশে বাস করে। ননাংরা পানি দিয়ে রান্না-খাওয়া চলে। এসব কারণে সারা বছরই তার জ্বর কিংবা পেটের অসুখ লেগে থাকে। কিন্তু অভাবের জন্য ডাক্তার কিংবা ওষুধ জোগাড় করতে পারে না। এ বিষয়টিই উল্লিখিত চরণে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন ৪। ‘তারি তলে আসমানিরা থাকে বছর ভরে’- চরণটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : প্রশ্নোক্ত চরণে আসমানিদের বাসস্থানের কথা বলা হয়েছে।
হতদরিদ্র আসমানিরা রসুলপুর নামক একটি গ্রামে বাস করে। পাখির বাসার মতাে ছােট একটি ঘর তাদের। সে ঘর ভেন্না পাতা দিয়ে ছাওয়া। এ কারণে বৃষ্টি হলেই পানি গড়িয়ে পড়ে। একটু বাতাস হলেই সে ঘর নড়বড় করে। এমন ঘরেই তারা সারা বছর কাটিয়ে দেয়।
প্রশ্ন ৫। আসমানির বাঁশির মতাে গলার সুর কেন ক্ষয় হয়ে যায়?
উত্তর : আসমানির বাঁশির মতাে গলার সুর কেঁদে কেঁদে ক্ষয় হয়ে যায়।
আসমানি হতদরিদ্র একটি মেয়ে। অভাবের তাড়নায় সব দিন পেট ভরে খেতে পায় না। অনাহারে থাকতে থাকতে শরীর ভেঙে পড়েছে। পােশাক তার ছেড়া। কণ্ঠে ছিল বাশির মতাে সুর- তাও কেঁদে কেঁদে ক্ষয় হয়ে গেছে।
প্রশ্ন ৬। ‘সেই জলেতে রান্না খাওয়া আসমানিদের চলে’- বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : উল্লিখিত চরণে আসমানিদের রান্না-খাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
আসমানিরা দারিদ্র্যের বিষাক্ত ছােবলে বিপর্যস্ত। ছােট ভাঙা ঘরে অতি কষ্টে তারা বাস করে। পেট ভরে খেতে পায় না। বাস করে অতি নােংরা পরিবেশে। তাদের বাড়ির কাছে আছে পদ্ম-পুকুরে। সেখানে ব্যাঙের ছানা, শেওলা, মশা-মাছিতে ভরপুর। সে পুকুরের নােংরা পানি দিয়ে তাদের রান্না-খাওয়া চলে। যার জন্য জ্বর, পেটের পীড় তার লেগেই থাকে।